কম্পিউটার বা স্মার্টফোন নয় কিন্তু ইন্টারনেটে যুক্ত—সাধারণভাবে এমন যন্ত্র ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) পণ্য হিসেবে পরিচিত। এসব যন্ত্রকে যেকোনো জায়গা থেকে নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণ করা যায়। সারা বিশ্বেই বাড়ছে আইওটি পণ্যের ব্যবহার। বাংলাদেশেও এখন তৈরি হচ্ছে আইওটি পণ্য। কিছু প্রতিষ্ঠান এ ধরনের যন্ত্র তৈরির কাজ শুরু করেছে। চট্টগ্রাম থেকে আইওটি পণ্য তৈরি করছে স্টেলার বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা আরিফ ইফতেখার। প্রধান কার্যালয় চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে। এই প্রতিষ্ঠানে এখন ১০ জন কর্মী কাজ করছেন।
আরিফ ইফতেখার চট্টগ্রামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। পাশাপাশি তিনি আইওটি নিয়ে কাজ করছেন। তিনি ‘এ উদ্যোগের শুরু ২০১৫ সালে, যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করার সময়। রুমি টেকনোলজি নামে স্টার্টআপ চালু করেছিলাম। তখন কাজ করেছি আইওটিভিত্তিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র নিয়ে।’
রুমি টেকনোলজির ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামে চালু হয় স্টেলার বিডি। বাংলাদেশের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে স্থানীয় চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন পণ্য তৈরিতে হাত দেন আরিফ ইফতেখার। বর্তমানে স্টেলার বিডি থেকে বেতার তরঙ্গনির্ভর পরিচয়পত্রের (আরএফআইডি) অ্যাটেনডেন্স ডিভাইস, আঙুলের ছাপ দিয়ে অ্যাটেনডেন্স ডিভাইস এবং অটোমেটিক বেল ডিভাইস নামে তিন ধরনের পণ্য তৈরি করছেন।
আরিফ ইফতেখার বলেন, অন্য দেশ থেকে আনা উপস্থিতি দেওয়ার যন্ত্র বসাতে গেলে নানা কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া বাড়তি কম্পিউটার বা অন্য কোনো যন্ত্রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু স্টেলার বাংলাদেশের তৈরি আইওটি যন্ত্রগুলো তারহীন ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্ক সমর্থন করে। এ ছাড়া এটি বসানো এবং এর রক্ষণাবেক্ষণ সহজ। এটি চালাতে আলাদা কর্মীও লাগে না। অফিস বা স্কুলে হাজিরা ব৵বস্থাপনার জন্য এটি ব্যবহার করা যায়।
হাজিরা নেওয়ার যন্ত্রে নিজস্ব এপিআই তৈরি করা হয়েছে। এর সুবিধা হচ্ছে এটি ব্যবহারবান্ধব ও সহজে সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করা যায়। আঙুলের ছাপ শনাক্ত করার প্রচলিত যন্ত্রের সঙ্গে পার্থক্য হচ্ছে এটি সরাসরি সার্ভারে তথ্য–উপাত্ত পাঠাতে পারে। কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হবে না।
দেশে এ ধরনের আইওটি পণ্যের চাহিদা রয়েছে। শতাধিক প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহার করছে বলে জানালেন আরিফ ইফতেখার। শিগগিরই ঢাকায় কার্যক্রম শুরু হচ্ছে স্টেলার বিডির।
No comments